শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৪৩

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পটুয়াখালীতে মৎস্য কর্মকর্তাকে হেনস্তা করে জাল ছিনিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

পটুয়াখালীতে মৎস্য কর্মকর্তাকে হেনস্তা করে জাল ছিনিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

dynamic-sidebar

পটুয়াখালীর দশমিনায় মৎস্য অধিদফতরের বিশেষ অভিযানে আটক হওয়া বেহেন্দি জাল জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শওকতের বিরুদ্ধে।

শুধু জাল ছিনিয়ে নেয়াই নয়, এ সময় মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত হোসেন আসন্ন চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন।

দশমিনা উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আনিসুর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় বুধবার হাঝিরহাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাইফুল ইসলাম ও তার ফোর্স নিয়ে উপজেলা বাশবাড়িয়ার এলাকায় তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে চারটি নিষিদ্ধ বেহেন্দি জাল জব্দ করা হয়। এ সময় দশমিনা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শওকত ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৎস্য অফিসের লোকজন এবং পুলিশকে জাল জব্দ করতে নিষেধ করাসহ গালমন্দ ও হুমকি দেন।

তিনি বলেন, এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে অভিযান বন্ধ করে জব্দকৃত চারটি জালের দেড়াংশ নদী থেকে তুলে হাঝিরহাট লঞ্চঘাটে চলে আসি। পরে দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম হাঝিরহাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাইফুল ইসলাম এবং স্থানীয় লোকজনের সামনে নিষিদ্ধ ওই জালে অগ্নিসংযোগ করে পোড়ানোর প্রস্তুতি নেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত দলবল নিয়ে আবার সেখানে উপস্থিত হন। এসেই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবসহ মৎস্য অফিসের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

ক্ষেত্র সহকারী আনিসুর রহমান আরও জানান, এছাড়াও চেয়ারম্যানের (শওকতের) কল রিসিভ না করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হুমকি দিয়ে আটককৃত জাল ছিনিয়ে নিয়ে যান এবং ভবিষ্যতে তার অনুমতি ছাড়া অভিযান পরিচালনা করলে ঝামেলায় পড়তে হবে বলে হুমকি দিয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ এএসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুধবার দুই পুলিশ সদস্য নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমিও জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে যাই। চার জাল উদ্ধার করে দেড়াংশ নিয়ে নদীর কিনারে নিয়ে জালে আগুন ধরিয়ে দিলে আমি আমার ফোর্স নিয়ে ফাঁড়িতে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর লোকমুখে শুনি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এসে ঝামেলা শুরু করেছে। কিন্তু পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে চলে যান।

দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, বুধবার চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জাল ছিনিয়ে নিতে প্রকাশ্যে আমাদেরকে হেনস্তা করেছে এবং তার অনুমতি ছাড়া জাল জব্দ করতে নিষেধ করে গেছেন। আমি ইউএনওসহ জেলা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এদিকে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শওকত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আরে এগুলো কিছু না। লোকালি একটি ঝামেলা হয়েছে। নির্বাচনী মুহূর্তে মানুষ একটু বাড়িয়ে বলে আরকি। এগুলো লেখার দরকার নেই।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net